স্বদেশ ডেস্ক:
বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন তলব করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এএম রেজা জাকের মামলার শুনানির তারিখ ২ অক্টোবর ধার্য করে পুলিশকে ওই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কুতুবুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চান। আদালত একই তারিখ পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।
শুনানির সময় মামলার প্রধান আসামি এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই মারা গেছেন বলে আদালতকে অবহিত করে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেন এরশাদের পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশিদ। শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন তলব করেন এবং প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর অব্যাহতির আদেশ দিবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পুনঃযুক্তিতর্কের ধার্য দিনে রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির তদন্তে কিছু ক্রটি উল্লেখ করে অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ওই বছর ২২ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। এর আগে মামলাটিতে ওই বছর ২২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম রায় ঘোষণার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে ওই বিচারক বদল হওয়ায় নতুন বিচারক রায় থেকে পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলায় এরশাদ ছাড়াও মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব) শামসুর রহমান শামসও আসামি।
মামলাটিতে আসামি আব্দুল লতিফ ও শামসুর রহমান শামস বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এরশাদ, কাজী এমদাদুল হক ও মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া বিরুদ্ধে বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড়ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইস থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।